Wednesday, March 7, 2018

The Acme Laboratories Ltd. - ACMELAB

সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিঃ এই আলোচনার উদ্দেশ্য কোনো বাই সেল নির্দেশনা দেওয়া নয়, আমরা শুধুমাত্র তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে চাই। অধিকন্তু, বাজারের এই চরম অসময়ে কখন কোন শেয়ার কোন পথে যায় কেউ বলতে পারে না। তাই আমরা শুধুমাত্র শেয়ারটির মৌলিক বিষয়াদি নিয়ে কথা বলছি। শেয়ার ক্রয় বিক্রয়ে সবসময় নিজের বিবেচনা কাজে লাগান। ঝাকানাকা আইটেমের খোঁজে থাকা মানুষগুলো এই আলোচনা থেকে দূরে থাকুন।

ACMELAB
Acme Lab
দ্যা একমিল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। এটি মূলত ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি কোম্পানি হলেও স্টক এক্সচেঞ্জে এনলিস্টেড হয় ২০১৬ সালে। আমাদের বাজারে এনলিস্টেড শেয়ারগুলোর মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় শেয়ার, তবে লাভ পাই নাই আমি এই শেয়ার থেকে, পেলেও খুবই সীমিত। জুন ২০১৭ এর পর থেকে আমাদের বাজারের ব্যাংক, জেড ও জাঙ্ক শেয়ারের উত্থানের সময়ে অন্য শেয়ারের যে নীরব মাইর চলেছে, সেটা থেকে এই একমিই আমাকে রক্ষা করেছে। তাই এটি এখনও আমার সবচেয়ে প্রিয় শেয়ার।



শেয়ারটি বিগত ১ বছরে সর্বোচ্চ ১২২.৪০ টাকা থেকে সর্বনিম্ন ১০৭.৬০ টাকার মধ্যে উঠানামা করছে। সর্বোচ্চ দর ১২২.৪০ টাকা হলেও এটা আসলে ১১২.৫০ টাকা (এই ১১২.৫ টাকা আবার বিশেষ এক কারণে ট্রেডমার্ক প্রাইস। কারণ, ফেসবুকের কোনো এক জনপ্রিয় এডমিন তার বিশ্লেষণে দেখেছেন যে এটি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরেও ১১২.৫০ টাকায় থাকবে।  :O  :P) থেকে ১১৭ এর মধ্যেই এটি ঘোরাঘুরি করেছে। সেই হিসেবে এটি তার ইয়ারলি সর্বনিম্ন রেটের কাছাকাছি আছে। 


গত ১ বছরের চার্ট

অনুগ্রহ করে আমার কথায় কেউ বাই সেলের সিদ্ধান্ত নিবেন না। তবে আমি আমার বিশ্লেষণে দেখেছি যে, ২০২১ সাল নাগাদ একমির ইপিএস ১৫ টাকার কাছাকাছি থাকবে, এবং এর দর হবে মিনিমাম ২৩০/২৫০ টাকা। আমার মতো ঘুমের ঔষধ খাওয়ার সক্ষমতা সম্পন্ন সত্যিকার বিনিয়োগকারীই কেবল এই শেয়ারের দিকে তাকাতে পারে। অন্যেরা তাকালে তাকিয়ে থাকতে থাকতে তাদের চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে। তখন আবার একমির অন্ধত্বনাশক ট্যাবলেটের আশ্রয় নেওয়া লাগতে পারে।  :D  :P তাই ভাবনাচিন্তা করে এর দিকে তাকাবেন। 


গ্রাজুয়ালি এর পাবলিক পোরশন কমছে, বাড়ছে প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশী বিনিয়োগ। জানি না সামনে কী অপেক্ষা করছে। 



দ্যা একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, পেইড আপ ক্যাপিটাল ২১১.৬০ কোটি টাকা। ৭ জুন ২০১৬ তারিখে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ারটির লেনদেন শুরু হয়েছিল। অনেকের মতে এটির ডিভিডেন্ড পলিসি ভালো না। অর্থাৎ তারা মনে করেন, ক্যাশের সাথে কিছু স্টক ডিভিডেন্ড দিলে এটি ভালো হতে পারতো। যাই হোক, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে এটি ৩৫% হারে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। ডিভিডেন্ড প্রদানের হার আরেকটু ভালো হওয়া উচিত ছিল।

কোম্পানির বোর্ড অব ডিরেক্টরস-এ আছেনঃ

• জনাব আফজালুর রহমান সিনহা  - বর্তমান চেয়ারম্যান। উনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একজন পরিচালক। 
• জনাব মিজানুর রহমান সিনহা - বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ৪ দলীয় জোট সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। 
• ড. জাবিলুর রহমান সিনহা – ডিরেক্টর
• মিসেস জাহানারা মিজান সিনহা - ডিরেক্টর
• মিসেস নাগিনা আফজাল সিনহা - ডিরেক্টর
• মিসেস ফৌজিয়া হক – ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর 
• জনাব সৈয়দ শাহেদ রেজা – ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর
• জনাব কাজী সানাউল হক - নমিনি ডিরেক্টর, আইসিবি 

• জনাব নাসির-উর-রহমান সিনহা – স্পন্সর ডিরেক্টর 
• মিসেস পারভিন আখতার নাসির – স্পন্সর ডিরেক্টর
• মিসেস খুরশিদ জাহান দবির – স্পন্সর ডিরেক্টর

ফেব্রুয়ারি ২০১৮ অনুসারে শেয়ার হোল্ডিং পজিশন
স্পনসর/ডিরেক্টর
সরকার
প্রতিষ্ঠান
বিদেশী
সাধারণ জনগণ
৪০.১২
২৮.১৫
৩.৫৩
২৮.২০

অর্থাৎ বাজারে Free Float শেয়ারের পরিমাণ ৫৯.৮৮%, যার বাজার মূল্য প্রায় ১৪০১ কোটি টাকা (০৭/০৩.২০১৮ তারিখের দর ১১০.৬০ টাকা অনুসারে) এবং এর বাজার মূলধন ২৩৪০ কোটি টাকা। 


সর্বশেষ ডিসেম্বরে শেষ হওয়া হাফ ইয়ারলি ইপিএস অনুসারে শেয়ারটির পিই রেশিয়ো মাত্র ১৪.৫১ যা ঔষধ ও রসায়ন খাতের মধ্যে ২য় সর্বনিম্ন। এর শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দারুণ লোভনীয়, ৮২.১৪।

No comments:

Post a Comment